https://www.purusattom.com/

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী " সমাজ "

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী " সমাজ 


সকল ইষ্টপ্রাণ ভাই-বোন, দাদা-দিদিদের আমার আন্তরিক জয়গুরু।

সবার জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা রইলো পরমপিতার রাতুল চরণে---

আজকের অংশবিশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া অমৃত বাণী।                               

  বিষয়-: সমাজ

                

                সব বৈশিষ্ট্যের স্বতঃ গতি

       এক আদর্শে হ'লে,

পারস্পরিক সুহৃৎ চলায় 

        সমাজ তা'কেই বলে।১।



সমাজই তো উপচে উঠে

          রাষ্ট্রে দীপ্তি পায়,

বিধান-মাফিক সটান চলায় 

           বর্দ্ধনাতে ধায়।২।



এক আদেশে চলে যা'রা

          সমাজ গজায় জানিস্ তা'রা।৩।

         

 ফের ওরে ফের ইষ্টদেবের 

            স্বার্থলাভে জীবন ব',

ধন্য হ'বি, মান্য পাবি,

       অমর সুধায় অমর হ'।৪।



পূর্ব্বমহান স্বীকার ক'রে

         পিতৃকৃষ্টি পূরণ যা'তে,

উন্নতিতে ধরবি তাহা 

     বাড়বি তা'তে জাতির সাথে।৫। 



পূর্ব্বতনের সূত্র ছিঁড়ে 

       আসুক নাকো যেই মহান,

উন্মাদনা গেলেই নিভে 

       উদ্দীপনার তিরোধান ।৬।


এক মাটিতে বসত যা'দের

       ধর্ম্মগুরু যা'দের সৎ,

ধান্য-গোধূম খাদ্য যা'দের

        রয় কি পৃথক তা'দের পথ?।৭।



একপ্রাণতার মমত্বেতে

     পরস্পরের সমাবেশ,

নিনড়-অটুট হ'লেই জানিস

    একটি দানায় বাঁধবে দেশ।৮।



ইষ্ট-রাজা-পারিপার্শ্বিক

     পিতৃ-পরিবার,

এ চার ভাগে আহরণ তোর

     করবি ব্যবহার;

এমনতর চলায় জানিস

জীবন-যাপন ধন্য মানিস

  রক্ষাটি তোর চতুর্দ্দিকেই

        থাকবে হুঁশিয়ার।৯।


সমাজে আন ইষ্টানুগ

     একতন্ত্রী সংগঠন,

যৌন-সূত্রে অনুলোমে

      শ্রদ্ধাভরে কর পালন।১০।



বাড়তে গেলেই সংহতিতে

       সহগামী বিশিষ্টদের

নিয়েই হবে বাড়তে কিন্তু,

       নইলে বৃদ্ধি আপসোসের।১১।



পড়শীরা তোর নিপাত যাবে

      তুই বেঁচে সুখ খাবি বুঝি?

যা ছুটে যা, তা'দের বাঁচা--

তারাই যে তোর বাঁচার পুঁজি।১২।



ঝমক নাচে তাল-বেতালে

লক-লকান ফণী-ধাওয়ায়,

সিংহরোলে কাঁপিয়ে তুলে

মরণতরণ বীরগাঁথায়,

আর্য্যসমাজ, ওঠরে জেগে

  বীর্য্যপ্রাণা দ্বিজের ঘর,

অযুত আলোয় বুক ভরে নে

দীপ্ত কর রে বিশ্বচর।১৩।



ডঙ্কা বাজা ভেরীর রবে

তুর্য্যধ্বনি নাচন রোল,

চল ওরে চল আর্য্যগর্ব্বে

  ইষ্টস্বার্থী ধ'রে বোল;

সমাহারে আন সবে আন

   বীরদাপটে বীর্য্যপ্রাণ,

সামের গানে মাতাল ভোলা

    জাত-সমাজে কররে ত্রাণ।১৪।



যে-জাতিতে যতই বেশী

   সাধ্বী ধীরা নারী,

জীবন্ত সে-জাতি ততই

   বিশ্বতমোহারী।১৫।


যে-জাতিতে বারাঙ্গনা

        স্বৈরিণী নারী কম,

নিছক জানিস সেই জাতিটির

        আছেই বুকের দম।১৬।



বারাঙ্গনা সেই--

      বহুপুরুষে আত্ম বিকিয়ে

      বাঁচায় জীবন-খেই।১৭।



জাত-সমাজ বা সম্প্রদায়ে

       যেমন নারীই হোক,

বিহীতভাবে রকমফেরে

       রাখিস ঘুরিয়ে রোখ;

জাতি-কুল বা ধর্ম্মভ্রষ্ট

        যতই নারী হবে,

ধ্ব'সে যাবেই জীবন জাতির

        নিছক জানিস সবে;

তাইতে বলি শোন তোরা ও

       আবছা-দৃষ্টি যা'রা,

রাখতে নারী সামাল হ'রে

       ঘুচিয়ে বেকুব ধারা।১৮।





Comments