মানুষের পথ প্রদর্শক কে -মানুষ ভুলেছে কী তার আদর্শ - কে তার অমৃত -পরিবেশী আপনার একান্ত দরদী জন।
জয়গুরু ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র র এই বাণী গুলোর মাঝে আছে মানুষ জন্মাবার সার্থক উপায়।
🍂🍂 আশীষ বাণী🍂🍂৪*
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র নিঃসৃত শ্রুতি-বাণী গ্রন্থ 'অনুশ্রুতি' প্রথম খণ্ড থেকে :-
*ধর্ম্ম*
অন্যে বাচায় নিজে থাকে
ধর্ম্ম বলে জানিস তা'কে ।
। ১।
ধর্ম্মে সবাই বাঁচে-বাড়ে
সম্প্রদায়টা ধৰ্ম্ম না রে ।
। ২।
ধর্ম্মে জীবন দীপ্ত রয়
ধৰ্ম্ম জানিস একই হয় ।
। ৩ ।
যত জানিস ধর্ম্ম ব'লে
মূলে সব এক-গজিয়ে চলে ।
। ৪ ।
দর্শনেরই বস্তাবাহী
বলদ নয়কো, সাধু যা'রা ,
বরং পটু ন্যায়ের যোদ্ধা
বিধির বাহক জানিস তা'রা ।
। ৫।
এক ত্রাতা এক প্রাণ
মন্ত্র একে অধিষ্ঠান ।
। ৬।
সম্বেগ-হারা কর্মপ্রাণ
আধ্যাত্মিকতার বন্ধ্যা টান ।
। ৭ ।
আধ্যাত্মিকতা অবশ যা'র
কর্ম্মপ্রেরণা মূঢ় তা'র ।
। ৮।
ইষ্টরাগে বিধির পথে
উপচয়ে চলা ,
একই বলে ধর্ম্ম খাঁটি
নইলে নিষ্ফলা । । ৯।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
*ধর্ম্ম*
তথাগতদের মধ্যে বিভেদ
করে যে-জন সে আর্য্যক্লেদ ।
। ৪৩ ।
কৃষ্ণ-রসুল বিভেদ ক'রে
বুদ্ধ-ঈশায় প্রভেদ গণিস,
আরে ওরে ধর্ম্মকসাই
কুটিল দোজখ মনেই রাখিস;
এক বাপেরই পাঁচটি ছেলে
দেখলি না তুই চোখটি মেলে,
কাউকে বাপের করলি স্বীকার
কাউকে বললি নয়,
কা’রে রে তুই দিলি ধিক্কার
গাইলি কাহার জয় ?
। ৪৪ ।
ধৰ্ম্মবিধি সবই সমান
দেখতে শুধুই রকমফের,
লাখ সম্প্রদায় থাক না কি তা’য় ?
রইলে একই ইষ্টজের ।
। ৪৫ ।
পূর্ব্বপুরুষ জাত-গরিমা
জানিস যা'তে ছাড়তে হয়,
এমনতর ধর্ম্মবাণী
জগদগূরুর নিছক নয় ।
। ৪৬ ।
"পূর্ব্বপুরুষ চেতন-ধারা
ধৰ্ম্মে যদি ছাড়তে হয়,
জোর গলাতে বলছি আমি
নিছক সেটি ধর্ম্ম নয় । "
। ৪৭ ।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
*ধর্ম্ম*
"পারম্পৰ্য্যে ইষ্টজেরটি
যখনই যে ভাঙ্গল,
গণসমষ্টির ব্যষ্টিমূৰ্ত্তি
। ৪৮ ।
"পূর্ব্বতনে বাতিল ক'রে
যারাই ছড়ায় ধর্ম্মজাল,
আর সবারে সাবাড় ক'রে
তা'রাই চায় থাকতে বাহাল ।"
। ৪৯ ।
"পূর্ব্বপুরুষ ধরণ-ধারণ
পূরণ-পথে নবীন গড়ন,
অভ্যুদয়ী চলন-চালন
ধৰ্ম্মেরই এই উৎক্রমণ ।"
। ৫০ ।
"মতবাদে জাতের ফারাক
ইষ্ট-তফাতে বংশভেদ,
ধৰ্ম্ম-ধারার চলন-চালে
হয় না জানিস জাত-বিভেদ ।"
। ৫১ ।
"ঈশ্বরেরই উপাসনায়
হিংসা-সাধন পশুবলি,
বিশ্বপ্রভু নেন না তাহা
যায় না তাঁ'তে সে-সকলই ।"
। ৫২ ।
"জীবন-বৃদ্ধির আরাধনায়
অহিংসাভরা অনুষ্ঠানে,
রকমারি আবেগ-চলন
উদ্দেশ্য এক ভগবানে,
থাকেও যদি এমনতর
প্রকারভেদ সাধনার--
ধর্ম্মযুদ্ধের দোহাই দিয়ে
আনলে বিরোধ নরক তা'র ।" । ৫৩ ।
🍁🍁আশীষ বাণী 🍁🍁 *২৪
" হিংসা-দ্বেষী বৃত্তিবিধুর
পালন-পূরণ মিলন-হারা,
চতুর চালে ধর্ম্মনীতির
সমর্থনে দিয়ে কাড়া,
ভরদুনিয়ার প্রেরিতদের
কা'রও ভক্তি-অছিলায়
অন্য প্রেরিত-নীতির দলন
করতে যদি কেহ ধায়,
তা'রেই নিছক কাফের জানিস
ধর্ম্মদ্রোহের কারণ সেই ;
তা'কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া
অবজ্ঞা সে ঈশ্বরেই । "
। ৫৪ ।
"ইষ্টতীর্থ আরাধনার
ম্লেচ্ছীদলন জানতে পেলে
প্রাণশক্তি বুদ্ধিশক্তি
শরীরশক্তি সকল ঢেলে -
নিপাত করি’ সেই দলনে
ইষ্টতীর্থ-আরাধনার
গৌরব-স্তম্ভে অটুট ক'রে
অটল রাখলে প্রতিষ্ঠার,
ধৰ্মযুদ্ধ তা'কেই বলে
এমন আহব করলে জয়,
শক্তরাগে বৃত্তিগুলি
ইষ্টস্বার্থে গ্রথিত হয় ;
আবেগভরা ইষ্টটানের
আগলভাঙ্গা ঝটিত বেগে
অতিপাতকীর ঝলক-তপে
স্বর্গ লভে দীপক রাগে ।"
। ৫৫ ।
🍂🍂 আশীষ বাণী 🍂🍂*২৬
শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রীমুখ নিঃসৃত শ্রুতি বাণী গ্রন্থ 'অনুশ্রুতি' প্রথম খণ্ড থেকে নেওয়া :-
*ধর্ম্ম*
" শিষ্য-গুরুর ভেদ গণে না
এক নজরে ভজে,
ধৰ্ম্ম তাহার দ্বিধা হ'য়ে
দুর্ব্বিপাকেই মজে ।
। ৫৬ ।
পূৰ্ব্ব ঋষি মানে যা'রা
এক আদর্শ ভিন্ন ধারা ।
। ৫৭ ।
প্ররিতে যে প্রভেদ করে
অন্ধ তমোয় সাবাড় করে ।
। ৫৮ ।
ধৰ্ম্ম যেখানে বিপাকী বাহনে
ব্যর্থ অর্থে ধায়,
তখনি প্রেরিত আবির্ভূত হন।
পাপী পরিত্রাণ পায় ।
। ৫৯ ৷
আপ্তপূরণ ধারাটি তোর
বাতিল ক'রে অকৃতজ্ঞ,
সেই হৃদয়টি নিয়ে যাচ্ছিস
প্রেরিতে ধ’রে হ’তে প্রজ্ঞ ?
কায়দা-কলম ভণ্ডামি তোর
খাটতে পারে মানুষের কাছে,
ভাবিস পাবি পাগল অজান
রেহাই বিধির বান্দার কাছে ?
। ৬০ ।
জগৎমাঝে যে জাত-সমাজ
উচু-নীচু যেই না জন,
পূরণ-প্রবন--সাধু-প্রেরিত
নমস্য সবার তাঁ'রাই হন ।
। ৬১ । 🍂🍂 আশীষ বাণী 🍂🍂১৯*
*নীতি*
" গনকে যদি গুরুর পূজায়
বাড়িয়ে তুলতে পারিস,
সাফল্য তোর সামগানেতে
ভ'রেই তুলবে দিশ ।
। ৮১ ।
হামবড়ায়ী স্পর্দ্ধী নেশার
যখনই যে ব্যাঘাত হানে,
তখনই তা' মুষড়ে গিয়ে
ফোলেই ক্রোধে অভিমানে ।
। ৮২ ৷
ভাল-প্রয়াসী মন্দ যা'
সেও তো ভাল ঢের,
ভাল-মুখোস মন্দ ঘৃণ্য,-
লোকে পায় না টের ।
। ৮৩ ।
অর্থ যখন সবার স্বার্থ
বিশিষ্টতায় করে পূরণ,
সাম্যে ভরা সেই নীতিটা
সাম্য-নাচেই নাচে তখন ।
। ৮৪ ।
উদভাবনী বুদ্ধি-হারা
একঘেয়ে যা’র উপাৰ্জ্জন
যোগ্যতাহীন বুদ্ধি বেকুব
সেই মানুষই হয় কৃপণ ।
। ৮৫।
চিন্তা যদি একপেশে হয়
সঙ্গতি সব বাদ দিয়ে,
বুঝের মাথা ঘায়েল ক’রে
আসবে দম্ভ অবুঝ নিয়ে ।
। ৮৬ ৷
রোগ বা বিশেষ কারণ ছাড়া
কর্তা, চাকর আর স্বজনে
সমান খাবার, ন্যায্য তোষণ --
চলেই এমন শ্রেষ্ঠগণে ।
। ৮৭ ।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
*নীতি*২১*
"একের স্থিতি অন্যের টানে
অন্যে একের পানে,
এমনি ক'রেই সত্তা সকল
চ'লছে র'য়ে স্থানে ।"
। ৮৮।
"যা' পেয়ে যে বাঁচাবাড়ার
চলায় যত উন্নত,
তাই বুঝে তা’ করলে রে দান
সাৰ্থক সে দান হয় তত । "
। ৮৯ ৷
"বড়র মত চাল মারিস তুই
চালিয়াতি চাল ধ'রে,
অভ্যাস, ব্যবহার, দক্ষতা আন-
নইলে বড় কী ক’রে ? ।"
। ৯০ ।
"এক লহমার বেফাঁস কথা
চিন্তা, কৰ্ম্ম, আলোচনা,
ছোটেই নিয়ে পিছু-পিছু
দুরদৃষ্টের কী লাঞ্ছনা !"
। ৯১ ।
"বিধির নীতির একটু ব্যাঘাত
একটু অবহেলা তা’র,
আকাশ-পাতাল তফাৎ করে
দুঃস্থি আনে অবস্থার । "
। ৯২ ।
"শ্রেষ্ঠ জনে করলে প্ৰণাম
নিয়ত মাথা ঠেকিয়ে পায়,
নিজের ভাল হ'লেও কিন্তু
তাঁর আয়ুটি ক্ষ’য়েই যায় ।"
। ৯৩ ।
"এমন তাপের করবি সৃজন
অত্যাচারের হয় নিকেশ,
অনুতপ্ত অত্যাচারীর
রয় না যা'তে পাপের লেশ ।"
। ৯৪
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
*নীতি*
যে দায়িত্ব নেবে যাহার
ঝটিতি কর তা',
কথা দিলেই করবে যা'তে
রয় না কৃতঘ্নতা ।
। ৯৫।
যুক্তি-কারণ না বাতলে তুই
উড়িয়ে দিস না কারু কিছু,
বাতলে শুভ মন্দে বাতিল
করলে আসে শুভই পিছু ।
। ৯৬ ।
পুরাতনের চৰ্য্যা নিয়ে
নূতনে ক’রে স্থিতি,
আদর্শেতে চলবি সাধু --
এই তো চলার নীতি ।
। ৯৭ ।
দান ক'রে যে হরণ করে
কিংবা বেশী লয়,
কুহক-ঝরা কুদিন এসে
সকলই করে ক্ষয় ।
। ৯৮ ৷
বিধি কিন্তু নয়কো জ্ঞানী,
নয়কো জ্যান্ত, নয় চেতন --
ইষ্টানুগ বেতা-জ্ঞানীর
জ্ঞানেই বিধির নিয়ন্ত্রণ ।
। ৯৯ ।
বিধির নীতির একটু বেচাল
একটু বেসামাল,
দক্ষতাহীন শিথিল চলন
ভাঙ্গেই জীবন-তাল ।
। ১০০ ।
নিন্দা-কথায় কান দেয় যে
মোকাবিলায় মিলায় না,
অনাহূত পাতিত্য পায়
শুভ তা'রে চালায় না ।
। ১০১ ।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
*নীতি*
"জীবনধারার সহজ ঝোঁকেই
ধরে চলা নীতির পথ,
বৃত্তিমুখর প্ররোচনা
বাঁকিয়ে ধরায় নীতি অসৎ ।
। ১০২ ৷
অসৎ কৰ্ম্ম করবি না আর
প্ৰায়শ্চিত্তে শুদ্ধ হ’বি,
এই নীতিতে অপকর্মীর
পরিত্রাণে যত্ন ল’বি ।
। ১০৩ ।
কারু বিষয় ভালমন্দ
বুঝলেও কিন্তু মনে বেশ,
বলতে বলিস হিসেব ক'রে
নইলে পাবি শুধুই দ্বেষ ।
। ১০৪ ।
কাজ ও কথায় অমিল যেথায়
লোক-ভাঁড়ান গোপন চলন,
এমন চলায় নিছক জানিস
লুকিয়ে আছে কুটিল পতন ।
। ১০৫ ৷
ভাল বললেও উলটো বোঝে
রূঢ় ভাষায় প্রতিদান,
স্বৰ্গও যদি মর্ত্যে আসে
তৃপ্তিতে তা'র নাইকো স্থান ।
। ১০৬ ।
কুহক-বিধুর কৃতজ্ঞতা
ন্যায়পরতা, নীতির টান,
ইষ্টহারা অনৰ্থেতে
করেই জীবন অবসান ।
। ১০৭ ৷
মিত্ৰদ্রোহী কৃতঘ্ন যে
বিশ্বাসঘাতক,
তা’র সঙ্গ সাহচর্য্য
অনন্ত নরক ।
। ১০৮ ।
🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸
*নীতি* *27
"যেমন করায় যা' ফল মেলে
তেমনি যদি না কর তা’,
প্রাপ্তিপথে ব্যাঘাত আসে
দুঃখ সহ ব্যর্থতা ।
| ১০৯ |
চিন্তাগুলি কৰ্ম্মে যতই
বিচ্ছুরিয়ে মূর্ত হয়,
মগজটা তাের অমনি হ'লেই
উত্তেজনা-মুক্ত রয় ।
| ১১০ |
উপদেশ আর বুদ্ধিদানই
আত্মপ্রসাদ যা’র আনে,
রিক্ত-কৰ্ম্মা এমন জনার
সার্থকতা নাই প্রাণে ।
| ১১১ |
যে সময়ে লাগবে যা’-যা’
গুছিয়ে আগেই ব্যবস্থিতি,
করে সদা তৈরী থাকা
দক্ষকৃতীর স্বভাব-নীতি ।
| ১১২ |
অৰ্জ্জনাকে বাড়তি রেখে
ব্যয়টাকে কর নিয়ন্ত্রণ,
এমনতর চলিস্ যদি
চলনা পাবে স্থিত-চলন ।
| ১১৩ |
বুকের পাঁজর চূর্ণ ক'রেও
সুখী করার সব প্রয়াস,
এক লহমার চলা-বলা
ঘৃণ্য হ'লেই সব নিকাশ ।
| ১১৪ |
সজাগ সন্ধিৎসা নিয়ে
চলাই ভাল সৰ্ব্বদাই,
কোন অবস্থায় কীই বা ভাল
আগাম ভেবে করবি তা'ই ।"
| ১১৫
🍃আশীষ বাণী🍃*২৮
*নীতি*
"শাস্তি দেওয়ায় শান্তি যদি
নাই আনতে পারে,
মাছি-বওয়া সংক্রমণায়
শাস্তি ছিটবে না রে ?
| ১১৬ |
তাচ্ছিল্যই যদি থাকে—
অবুঝ হ’তে ভাবনা কিসের ?
ব’সে পাবি তুই তা’কে !
| ১১৭ |
যে-ভাব নিয়েই থাকিস না—
সেই ভাবেরই দক্ষতাতে
চলবি রে তুই জানিস না ?
| ১১৮ |
স্মৃতির বুকে অযুত নীতির
হীরক-মাণিক জ্বলে,
সেইটি বুঝে কুড়িয়ে পরিস
সুফল যা'তে ফলে ।
| ১১৯ |
অস্তিত্ব সহ আদর্শকে
সার্থক পূরণ করে,
এইটি বুঝে কহিস করিস
ঠকবি নাকো পরে ।
| ১২০ |
পাওয়া-দেওয়ার মাঝখানে-
চলে জীবন পুষ্টি পেয়ে
স্বস্তি-পায়ে—সাবধানে ।
| ১২১ |
শােক যদি রে তুলতে পারে
করায় বলায় স্বর্গপানে,
তবেই তা'কে রাখবি ধ'রে—
নইলে ছিড়িস সটান টানে ।
| ১২২ |
‘না’- সুন্দরী বধু যা’র
'হয় না’ - যা’র শালা,
অলক্ষী তা'র ধরে এসে
সব করেছে কালা । "
| ১২৩ |
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া।
বিষয় : *ব্যবহার*
নিতে চায় দেয় না
তা'র হাভাত যায় না।১।
দিতে যে পারে না
পাওয়া তা'র ঘটে না।২।
যতর স্বার্থে স্বার্থবান
ততই বড় তাহার মান।৩।
বাঁচ তুমি দানে যা'দের
আগেই মোছ অভাব তা'দের।৪।
বিষয় : *ব্যবহার*
বলার ভিতর ভাল যা' তা'য়
ফলিয়ে তুলিস বাস্তবতায়।৫।
বাঘ-নখেতে ধরবি তা'ই
বিবেক-বলে করবি যা'ই।৬।
ঘৃণা, লজ্জা, মান, অভিমান
ভয়-আদিরে বিদায় দিয়ে,
প্রেষ্ঠস্বার্থে ওঠ রে ফুটে
প্রাণনধারায় উচ্ছলিয়ে।৭।
পারিপার্শ্বিক হৃদয়গুলি
প্রেষ্ঠে বেঁধে তোল,
উপভোগে অঢেল হ'বি
নিত্য নবীনভোল।৮।
বিষয় : *ব্যবহার*
নিজেই বুঝে হ'তে রে পাকা
ধাক্কা খেতে হবেই অনেক,
বহুদর্শীর হাত ধ'রে তাই
দূর করিস তোর শঙ্কা যতেক।৯।
সব কথারই বাঁক যদি রয়
আবেদনী ঠারে,
সেইতো ভাল ঘাত লাগে না
কা'রও অহঙ্কারে।১০।
চাকর-বাকর-মজুর প্রতি
মেজাজ-চলন যেমনই,
স্বভাবত: জানিস লোকের
প্রকৃতি প্রায় তেমনই।১১।
অনুরোধী আবেদনে
আদেশ দিতে হয়,
এই স্বভাবের এস্তামালে
গায় লোকে তা'র জয়।১২।
বিষয় : *ব্যবহার*
স্বার্থক্ষুধ অবহেলা
অকৃতজ্ঞ ব্যবহার,
প্রিয়জনার হৃদয়খানি
বিষিয়ে আনে হাহাকার।১৩।
আবেগভরা গুণগ্রাহিতার
তৃপ্ত দীপনসুর,
মন-মানুষের আকর্ষণে
করেই ভরপুর।১৪।
বাঁচা-বাড়ার বিরোধনীতি
উগ্রমুখী দেখতে পেলে,
দাপট-বাধায় রুখিস ধীমান
প্রজ্ঞা, শৌর্য্য, দীপ্তি জ্বেলে।১৫।
কাউকে দুষে ক'সনে কথা
ইষ্টে দ্বেষ না হ'লে,
দুষলেও এমন বলিস নাকো
বর্দ্ধনা যায় দ'লে।১৬।
বিষয় : *ব্যবহার*
উপকারের আশায় যদি
দেয় কিছু কেউ তোরে,
নিলেই তাহা করবি তাহার
সৎদীপনায় ভ'রে।১৭।
বলবে ব'লে ভাবছ যাহা
ত্বরিত ভেবে ফলাফল,
সুফল পেতে সুকৌশলে,
বলতে পেলেই পাবি বল।১৮।
ইষ্টানুগ সংহতিকে
বজায় রেখে সর্ব্বথা,
সব ব্যাপারেই সকল কাজে
হিসাব ক'রে ক'স কথা।১৯।
একটু ক'রে ধীর-চলনে
হয় না অভ্যাস এস্তামাল,
অমনতর চললে বাড়েই
ব্যর্থ-বেফাঁস কুজঞ্জাল;
যা' করবি তুই, বুঝলে মনে
এক ঝাঁকিতে কর তাহা,
সমানে চল সেই চলনে
এমন চলাই ঠিক রাহা।২০।
বিষয় : *ব্যবহার*
বৈদ্যে রুষ্ট করেই যা'রা
বাক্যে আর ব্যবহারে,
ব্যাধির বালাই বয়ই তা'রা
কষ্ট দিয়ে রোগী মারে।২১।
শিষ্টাচারে শঠ-প্রতারক
না-ই যদি হয় জয়,
তুল্য ভয়াল সংঘাতে কর
শাঠ্যবুদ্ধি ক্ষয়।২২।
যেমন আসুক বাধা মন্দ--
প্রত্যুৎপন্নবুদ্ধি দিয়ে,
দূরদৃষ্টির নিয়ন্ত্রণে
নিবিই শুভে মোচড় দিয়ে।২৩।
আগের বলা-করার সাথে
পিছের যদি বেমিল হয়,
সামঞ্জস্য-সার্থকতায়
এনেই করবি শুভময়।২৪।
_
বিষয় : *ব্যবহার*
শত্রু কেউ তোর হ'তে পারে
দেখলে মনে জানি,
আগেই মিত্র করবি তা'রে
সেবা-সম্বেদ দানি'।২৫।
ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা তোর
বাঁচাবাড়ার সূত্র ধরি',
সব ব্যাপারে এই চলনে
সার্থকতায় উঠবে ভরি'।২৬।
বিশেষ-কিছু করতে গেলেই
জিজ্ঞাসি' নিস পাঁচজনে,
উপায়টিও নিস শুনে তুই
উদ্দেশ্যটি সম্পূরণে;
আত্মম্ভরীর বিরাগ হ'তে
রেহাই পাবি নিছক ওতে,
সমর্থনে থাকবে মানুষ
রাখিস এটা ঠিক মনে।২৭।
যে-কাজে যা'য় ভার দিবি তুই
স্বাধীনভাবে বাড়তে দিস,
করার পথে বেচাল শুধু
কড়া নজরে তাড়িয়ে দিস।২৮।
বিষয় : *ব্যবহার*
উপকারে উছল হ'য়ে
আত্মপ্রসাদ-মনে,
দেয় যদি কেউ নিস তাহা তুই
বিনীত সম্ভাষণে।২৯।
অত্যাচারের সায় দিতে কেউ
মিনতি করে যদি,
লুব্ধ ক'রে চাহেই দিতে
রুধিস তাহার গতি।৩০।
দুই পক্ষকেই বুঝে-সুঝে
করিস মতের নির্ণয়ন,
মন-গড়া একপেশে বুঝে
ঘটায় কিন্তু অঘটন।৩১।
বৃত্তিতাড়ায় আগল-পাগল
স্বভাব যা'দের সাম্য-ভাঙ্গা,
সহিস-বহিস নিয়ন্ত্রণে
উৎচেতনে রাখিস চাঙ্গা;
এই চলনে স্বভাব রেখে
সব সময়ই চলিস যদি
বিরাগভাজন কমই হ'বি
থাকবি শ্রেয়ে নিরবধি।৩২।
বিষয় : *ব্যবহার*
যেমন প্রাণে যা' দিবি তুই
তেমনি দেবার অনুসৃতি
হবে লোকের জানিস খাঁটি,--
দুনিয়ারই এই প্রকৃতি।৩৩।
বাদ-প্রতিবাদ স্বার্থবিবাদ
ঘটেই যদি জীবনটাতে
যত পারিস ত্বরিত-ঝটিত
চেষ্টা করিস তা' মেটাতে;
তা'তেও যদি নাই মেটে গোল
ন্যায় ও প্রমাণ দৃঢ় থাকে,
বিরোধ ছেড়ে ন্যায়-বিচারে
মিটাস গিয়ে শত্রুতাকে।৩৪।
মন্দরে তুই নিরোধ করিস
সম্ভব যদি হয়,--
প্রতিক্রিয়ায় মন্দই আসে
নিরাকরণে জয়।৩৫।
পরের কুশল দক্ষতাকে
ক'রে যা'রা খর্ব্ব,
খাটে আত্ম-প্রতিষ্ঠাতে--
কুহকে খায় সর্ব্ব।৩৬।
বিষয় : *ব্যবহার*
যতই ভাববে তোমারে কেউ
বোঝে না বা খতায় না,
বুঝবে তোমার চিন্তা-চলন
তা'দের কিছুই জোগায় না।৩৭।
সাক্ষী-প্রমাণ মিলবে যাহা
মেনে নিয়ে তাই
দেখবি তাহার কোনটা কিতক
সমীচীনে নাই;
উচিত যা' তার ভুলপ্রমাদে
কিংবা বিক্ষেপতায়
ছিন্ন হ'লেও নিবি তাহা
এলে সার্থকতায়,
বিরুদ্ধ যা' তাৎপর্য্যে তা'র
অর্থ বাস্তবতায়,
মিল না হ'লে দেখবি ভেবে
কী পর্য্যায়ে ধায়;
সামঞ্জস্যে এনে এ-সব
যথার্থতার ছবি
কল্পনাতে দেখলে এঁকে
প্রায় নিশ্চয় হ'বি।৩৮।
শ্রেষ্ঠ কিংবা শ্রেষ্ঠ বর্ণের
প্রণাম নিতে নেই,
এটি হ'ল নিছক জানিস
অধঃপাতের খেই।৩৯।
উভয়পক্ষ জেনে-শুনে
সৃষ্টি ক'রে মতবাদ,
চলায়-বলায় করবি তেমন
নইলে ঘটে ঘোর প্রমাদ।৪০।
বিষয় : *ব্যবহার*
নেবার বেলায় আত্মীয়তা
দেবার বেলায় নয়তো কেউ,
চাটুর মত ফেরেই তা'রা
বাঘের সঙ্গে যেমনি ফেউ।৪১।
কটু কথা এলেও মনে
কিংবা মন্তব্য,
বলিস না তা', বলতে হ'লেও
বলবি সুভব্য।৪২।
আপন-করা আপ্যায়িতে
সুষ্ঠু-চতুর ব্যবহারে,
শত্রুকেও করলে সেবা
চলবে জীবন দীপ্তি-ভাৱে।৪৩।
দুষ্ট হ'লেও নিসনে সে-দোষ
ইষ্টস্বার্থে যদিই চলে,
বিনাশ আনে মিথ্যা যা' তা'
রুখবি পারিস যে-কৌশলে।৪৪।
Comments
Banigolo darun